কর্ণফুলী কাগজকল যাতে দেশের কাগজের চাহিদা মেটাতে পারে সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে—-শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ ফাল্গুন (১০ মার্চ) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, কর্ণফুলী কাগজকলে ফ্যাসিলিটিজগুলো আছে, কিন্তু কারখানার যন্ত্রপাতিগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে, অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে কাগজের যে চাহিদা আছে সেই চাহিদা কর্ণফুলী কাগজকল যাতে মেটাতে পারে সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যাতে কেপিএম আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
আজ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশ থেকে যাতে কাগজ আমদানি না করতে হয় সেজন্য কোয়ালিটি আরো বাড়াতে হবে। আমাদের যে ফ্যাসিলিটিজ আছে, আমরা বাজারদরে কাগজ বাজারজাত করতে পারবো। মিলে নতুনত্ব আনা হবে। অন্য প্রজেক্টের চিন্তাও রয়েছে। মিলে যে বিশাল প্রজেক্ট চালু ছিল, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের যেগুলো প্রয়োজন সেগুলা চালু করা হবে। তবে, এখন কাঁচামালের অভাব, এটা সারাবিশ্ব জুড়ে। আমাদের এখন যে ক্যাপাসিটি আছে, আভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সামনে কাজগুলো করাবো। কেপিএম আবার ঘুরে দাঁড়াবে। মিলটি চলবে, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
এসময় শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে এম আনিসুজ্জামান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দীনসহ কেপিএম এর বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে মন্ত্রী কেপিএম লিমিটেডের গেস্ট হাউসে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।