প্রধান মেনু

ভিয়েতনাম মিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্‌যাপন

হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-ইউনেস্কোর  ‘মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’-কে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম ৭ই মার্চ ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করেছে। জাতীয় সংগীত সহকারে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, বাংলা, ইংরেজি ও ভিয়েতনামিজ ভাষায় ৭ই মার্চের ভাষণ পাঠ এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

দিবসটি প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনামিজ অতিথিবৃন্দ, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্‌যাপন করা হয়।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান। মহাসংগ্রামী এ নেতার নেতৃত্বে¡ আপামর জনতা সে সময় মুক্তি সংগ্রামে সংঘবদ্ধ হয়েছিল। তাই ৭ই মার্চ ১৯৭১ইং এর ভাষণ পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল – তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু এবং সে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

পরিশেষে ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলা, ইংরেজি এবং ভিয়েতনামিজ ভাষায় পড়ে শোনানো হয়, ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।