ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন

ইসলামাবাদ, ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ) : বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইসলামাবাদ যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ, উদ্দীপনায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।
আজ দূতালয় প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর হাইকমিশনার মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয় এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্যে তার বলিষ্ঠ তর্জনীর ইশারায় বজ্রকন্ঠে স¦াধীনতার ডাক দিয়েছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বানে জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যায় ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ (পয়েট অভ্ পলিটিক্স) আখ্যায়িত করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সেই ১৮ মিনিটের অলিখিত জ্বালাময়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সংগ্রামী জাতিতে পরিণত করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স¦াধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, নয় মাসের সংগ্রামে ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লাখ মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল একটি মানচিত্র, একটি লাল সবুজের পতাকা, এক স¦াধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
হাইকমিশনার আরো বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।