প্রধান মেনু

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

কলকাতা (ভারত), ২২ ফাল্গুন (৭ মার্চ): বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের ৫২ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা।

সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

এরপর উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের নেতৃত্বে উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাগণকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বিকালে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসের সভাপতিত্বে উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সদস্য এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বরেন্দু মন্ডল ও  পশ্চিমবঙ্গের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক শ্রী দেবদীপ পুরোহিত। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়। এরপর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়েই জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তার কথা। আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রসর একটি দেশ। প্রতিবেশী ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভূমিমন্ত্রী।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল। এই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েই ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন পাকিস্তান উপ-হাইকমিশনের বাঙালি কর্মকর্তারা বিদ্রোহ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টি এই মিশন কাজ করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন হিসেবে।

বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, ১৮ মিনিটের ১৩০৫ শব্দের সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি জাতির পিতা দিয়েছিলেন সবদিক বুঝে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য তৈরি হওয়ার কথাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।