প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাসা দিবস পালিত।

তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ, মোঃ- শাহীন আলম (জেছিন): তাড়াশ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামে দোবিলা অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষকদের ভালোবাসার সকল ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক বৃন্দু।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দোবিলা অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাছির উদ্দীন , সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহীন আলম (জেছিন) , সহকারী শিক্ষক আবু জাফর, সহকারী শিক্ষক মোবারক হোসেন, সহকারী শিক্ষক রাকিব, সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ , সহকারী শিক্ষক ছায়াত আলী , সহকারী শিক্ষিকা রুমি, আলেয়া,জামিলা, সহ অনেকে।
বক্তৃতাকালে বক্তারা বলেন- ভাই হারানোর ব্যথা আর মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরব আর অহংকার মাখা সেই মহান ২১ ফেব্রুয়ারী আজ মঙ্গলবার । ১৯৫২ সালের এই দিনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে এসেছিল বাংলা মায়ের বিক্ষুব্ধ সন্তানেরা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে মুখর ছাত্রদের রুখে দিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা আরও অনেক শহীদের রক্তে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা।
সেই থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী অমর একুশে মহান শহীদ দিবস। আজ ভোরবেলা থেকে সর্বত্র বেজে ওঠেছে সেই কালজয়ী সুর ‘আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পরি বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র প্রেরণার উৎস ও অবিস্মরণীয় এই দিনটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে আজ।
জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল ও চিরভাস্বর ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন এদেশের সূর্য সন্তানরা। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছি মায়ের ভাষা পেয়েছি স্বাধীনতা।