শিল্পমন্ত্রীর সাথে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল হক ভূঁঞা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব শরীফ মোঃ মাসুদ এবং ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রথম সচিব হারুতা হিরোকী উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রীজাপানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী জাপান সফরের সময় জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেভাবে পাশে থেকেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও সেভাবে পাশে থাকবো। তিনি আরো বলেন,দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্তসমূহ প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ এন্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি স্থাপনের বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমরা শীঘ্রই সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবো।
মন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশেনের সাথে জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির সাথে সমঝোতা স্মারক এর আলোকে বাংলাদেশে মোটর গাড়ি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।