প্রধান মেনু

পাট ও চিংড়ি শিল্পের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার—-শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৫ ডিসেম্বর) : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, খুলনা অঞ্চলের পাট ও চিংড়ি শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার।

আজ খুলনায় শ্রম ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত জাতির পিতার ম্যুরাল ÔBangabandhu Statesman of the centuryÕ উদ্বোধন এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল বক্তৃতা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে ৯ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মান ফেডারেল সরকার ১৫শ’ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে। তিনি বলেন, এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে শ্রম মন্ত্রণালয় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা -২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে রপ্তানিমুখী শিল্পের হাজার হাজার দুস্থ শ্রমিক উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর বাঙালির একদিকে আনন্দের, অন্য দিকে শোকের। পাকিস্তানি সৈন্যরা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সারা দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক কোটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারত, ভুটান ও রাশিয়া আমাদের সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তিনি এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। আজ জাতির পিতার দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের উন্নত সমৃদ্ধ জীবনমান উপহার দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢাকা শ্রম দপ্তরের পরিচালক আবু আশরীফ মাহমুদ, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ ও সাংবাদিক মল্লিক সুধাংশু বক্তৃতা করেন।