বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরুর ঘোষণা

ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর): বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগী। বিগত ৫০ বছর জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জাপান এখন বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। দু’দেশের বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। অতিসম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। জাপানের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমন্ট (এফটিএ) অথবা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) এর মতো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সহযোগিতা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেজন্য বাংলাদেশ জাপানের সাথে এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়নের বেশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে আগামীতে এ রপ্তানি আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায়।
জাপানের বিদায়ি রাষ্টদূত ইতো নাওকি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। বাংলাদেশের সাথে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে চায় বলে তিনি জানান।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্টদূত ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও অতিরিক্ত সচিব মো. রহিম উপস্থিত ছিলেন।