আস্থা ও ভরসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা—-পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

লক্ষীপুর, ২৫ কার্তিক (১০ নভেম্বর) : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙন মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। এসব দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নদী ভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ভাঙনরোধ এবং ভাঙন কবলিতদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের যত্ন ও রক্ষার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আস্থা ও ভরসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নদী ভাঙা ও বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আজ লক্ষীপুরের লুধূয়ায়, পাটোয়ারীর হাট, রামগতি উপজেলার ৪নং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের উত্তর বালুর চর, ৬নং চর আলগী ইউনিয়নের মধ্য চর আলগী এবং ৯নং চর গাজী ইউনিয়নের ভয়ার চর এলাকার টাংকীতে মেঘনা নদীর তীর পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি, সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য স্থাপনা, হাট-বাজার, নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, মসজিদ ও গাছপালা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নদীরক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া নদী শাসন ও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। একটি উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে শতবর্ষী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান বদলে যাবে। ভাঙন প্রতিরোধে একদিকে নদী শাসন ও আরেক দিকে নদীতে ড্রেজিং অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নদী ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে নদী ভাঙন রোধ হবে না। তাই নির্ধারিত বালু মহাল ছাড়া অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সন্ধ্যার পরে কোনোভাবেই বালু উত্তোলন করা যাবে না।
উল্লেখ্য লক্ষীপুরের রামগতি ও কমলনগরে ৩ হাজার ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব এসএম রেজাউল মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, বাপাউবো লক্ষ্মীপরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ।