প্রধান মেনু

শেখ হাসিনার হাত ধরেই সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ—-পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ কার্তিক (৩০ অক্টোবর) : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাঁর অসীম দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোবলের ফলে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গঠিত ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় বন্যা, নদীভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলই হলো ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’।

আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের হলরুমে ‘Advancing BDP-2100 Implementation and related Policy/Institutional Reforms requirements, GRID DPC, Jamuna Project DPP approval etc’ শীর্ষক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর বেশিরভাগ পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৪৬ টি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম রয়েছে, যার মধ্যে মন্ত্রণালয় এককভাবে ৩৩ টি পিআইপি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের ২৬ টি পিআইপির অধীনে ৫৭ টি চলমান উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। তিনি বলেন, বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ অধীন গত ৪ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩০৯কিমি নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ৩৯৪ কিমি বাঁধ নির্মাণ, ৫ হাজার ৪৩৫ কিমি বাঁধ পুনর্গঠন, ৬১২টি হাইড্রোলজিক্যাল স্ট্রাকচার নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৩০কিমি, ১ হাজার ১৫২কিমি সেচ খালের ড্রেজিং, পুনঃখনন ও সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। এর বাইরে ২ হাজার ৫০০ কিমি ছোট নদী, খাল, জলাভূমি পুনঃখনন করা হয়েছে। ড্রেনেজ, সেচ, ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জ এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,বাংলাদেশ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পলিগঠিত ব-দ্বীপ। দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা নিম্নভূমি। খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙনের হুমকি মোকাবিলা করতে হয় এখানকার মানুষকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালে এ দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৩ কোটি লোক জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হবে। ডেল্টা প্ল্যানে বন্যার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শহর রক্ষা; নতুনভাবে জেগে ওঠা চর এলাকায় নদী ও মোহনা ব্যবস্থাপনা জোরদার করা; উপকূলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা নতুন জমি উদ্ধার এবং সুন্দরবন সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আর এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই পলিগঠিত এই বৃহত্তম ব-দ্বীপের মোহনায় জেগে উঠবে নতুন চর আয়তন বাড়বে বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই এই মহাপরিকল্পনা স্বপ্ন থেকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, বিশ্ব ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি রুমী, অতিরিক্ত সচিব এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিপল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।