বিশ্ব পর্যটন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা,১১আশ্বিন (২৬সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতিমোঃআবদুলহামিদ আগামীকাল২৭সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্তবাণীপ্রদানকরেছেন :“বেসামরিকবিমানপরিবহনওপর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবছরবিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য‘Rethinking Tourism’যার ভাবার্থ ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পর্যটন মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ভ্রমণের মাধ্যমে একে অপরের সান্নিধ্যে আসে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে সকলকে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ উদ্যোগ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অনুধাবনের পাশাপাশি পর্যটন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সার্বজনীন অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এদেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। রয়েছে অসংখ্য স্বতন্ত্র পর্যটন সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান। এসব অঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশ লাভ করলে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করতে পারে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিত উপায়ে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আমি পরিবেশের ভারসাম্য ও দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটন শিল্পে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয়বাংলা।
খোদাহাফেজ, বাংলাদেশচিরজীবীহোক।”