প্রধান মেনু

ডিজিটাল কনটেন্টে ছোট্ট শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে পড়া শিখবে—মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ২৮ শ্রাবণ (১২ আগস্ট):  ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়ার পর ছুটির পরও বাড়ি যেতে চায় না ছোট্ট শিক্ষার্থীরা। আশপাশের স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী টিসি নিয়ে এই স্কুলে চলে আসছে। যে সকল স্কুলে মাল্টিমিডিয়া আছে সেগুলোতে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। এমনটাই দাবি মানিকগঞ্জের ডিজিটাল ডিভাইস ও ডিজিটাল কনটেন্টে পরিচালিত দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গুজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বারাহী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কর্মসূচি পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্টরা এ দাবি জানান।

এ সময় ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের সুবিধা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ পদ্ধতিতে শিশুরা খেলার ছলে আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, ডিজিটাল শ্রেণি কক্ষে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবার পথে। ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বে বাংলা ভাষায় এ ধরনের ডিজিটাল উপাত্ত তৈরি করা এটাই প্রথম ।

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল ওহাব, বিজয় ডিজিটাল এর সিইও জেসমিন জুই, মানিকগঞ্জের এডিসি জেনারেল মোঃ সানোয়ার হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যতিশ্বর পাল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোহসীন রেজাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শত ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় এই দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।