প্রধান মেনু

আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার — ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যার প্রকোপ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বৃদ্ধিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়া আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা : শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। লেখক-সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১২২ বছরের ইতিহাসে এত ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গা পানির নিচে ছিল। এবারের বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের ৬০টি নৌকা প্রস্তুত ছিল। বন্যার পরে আরো চারশটি নৌকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্যায় আশ্রয়ের জন্য ৫৫০ মুজিবকিল্লার প্রকল্প ছাড়াও আরো ১ হাজার মুজিবকিল্লা ও ১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ৪০টি বন্যাপ্রবণ জেলায় বন্যার এমন ভয়াবহতা আর দেখা যাবে না।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ।