ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য আনান্দর্যালী-সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,২৫জুন ২০২২ঃ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপনকে কেন্দ্র করে পদ্মাসেতুর সাজে সেজেছে ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহে যেন উৎসবের আমেজ। চারিদিকে সাজ সাজ রব। পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঝিনাইদহ জেলা। বিভিন্ন সড়কে আলোক সজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধণ করা হয়েছে। ব্যনার ফেস্টুন আর চোখ ধাধানো আলোকসজ্জায় সেজেছে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
সন্ধ্যায় আতশবাজী ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের খবর। মানুষের মুখে মুখে পদ্মাসেতুর জয়গান। আর এভাবেই ঝিনাইদহে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পালন করা হয়। স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আনান্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকালে শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালীসহ আনান্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।এতে সরকারী বেসরকারি ও বিভিন্ন দপ্তরসহ সামাজিক সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি মুক্তমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপি, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক কনক কান্তি দাস, মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সচিব, জেলা পরিষদ ঝিনাইদহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান,ঝিনাইদহ জেলা জাতীয় মহিলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক দীপ্তি রহমানসহ অন্যান্যরা আনান্দ র্যালী ও শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এছাড়াও দিনভর নানা অনুষ্ঠান মালা, আতশবাজি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গ্রাম থেমে আসে শহিদুল।
তিনি সঙ্গে এনেছেন তার ছোট মেয়েকে। ব্যাপারীপাড়ার কমলা বেগন তার ছোট নাতিকে নিয়ে আলোকসজ্জা দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মুখে অস্ফুট হাসি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি প্রতিকী পদ্মাসেতু দেখতে শহরের পায়রা চত্বরে যান। এ ভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঝিনাইদহ শহরে ছুটে আসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে।
সব শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উৎসবে পরিণত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব। কারণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি। বিশ্বকে আমরা আমাদের সক্ষমতার কথা জানিয়ে দিলাম। আমরা পিছিয়ে নেই, আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি ।
আমাদেরকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। আর এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।