প্রধান মেনু

বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে পণ্য ও সেবার মান এবং গ্রহণযোগ্যতার বিকল্প নেই—শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) : বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘এ্যাক্রেডিটেশন: টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়তা করে বিষয়ক সেমিনার আজ ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ৯ জুন ছিল বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএবির মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, পণ্যের মান ও গ্রহণযোগ্যতাই ভোক্তাদের মনে আস্থা তৈরি করে, যার মাধ্যমে বিকশিত হয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ এমতাবস্থায় পণ্য ও সেবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে এ্যাক্রেডিটেশনের কোন বিকল্প নেই। শিল্পমন্ত্রী দেশীয় ল্যাবরেটরিসমূহে আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজনের মাধ্যমে পণ্যের সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। স্থানীয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক সনদ সংস্থাগুলোর সাথে দেশীয় সংস্থার সমন্বয় খুবই জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন এলক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকর এ্যাক্রেডিটেশন অবকাঠামো ইকো-সিস্টেম নির্মাণে বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, সরকার একটি মান নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সনদ প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মান ও অবকাঠামো উন্নয়নের  মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখা যাবে এবং এ লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আমাদের স্থানীয় সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্য অর্জনে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ্যাক্রেডিটেশনের ভূমিকা অপরিসীম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক। এর আগে ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন  দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে মতিঝিল বক চত্বর প্রদক্ষিণ করে।