প্রধান মেনু

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক–পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সক্ষমতার প্রতীক। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শত বাধা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন সততা, স্বচ্ছতা ও সাহসিকা এবং দেশপ্রেম থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।

আজ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণী সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, পঁচিশে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলা এবং উৎসবের জনস্রোত হবে পদ্মার পাড়। এই জনস্রোত সফল করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মা পাড়ে। বিপুল আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষ দুই চোখ ভরে আমাদের আত্মশক্তির এ প্রতীকটি দেখছে।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’জনই দক্ষিণ বাংলার মানুষ। বাবার মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যাও এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। শুরুতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি এ সেতুর অর্থায়নের অংশীদার হলেও পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণেও এ উন্নয়ন অংশীদাররা যুক্ত ছিল। কিন্তু তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাথা নিচু করেননি। পরে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরে দাঁড়ালে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে ইকবাল হোসেন অপু এমপি, পারভিন হক সিকদার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ জেলা প্রশাসনের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।