প্রধান মেনু

দ্রুত আইনি প্রতিকার বা ন্যায়সঙ্গত সমাধানের ব্যবস্থা করা সুবিচার নিশ্চিতের জন্য অপরিহার্য — ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) : নাগরিক ও অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২২’-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য প্রেরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশের সাথে সহমত প্রকাশ করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের দ্রুত আইনি প্রতিকার বা ন্যায়সঙ্গত সমাধানের ব্যবস্থা করা সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য।

আজ ঢাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২২’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আলোচনায় সুপারিশের সাথে উপর্যুক্ত সুপারিশও উঠে আসে। ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এই সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত মালিকদের স্বত্ব ও দখলভোগ নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে ভূমির দখল রোধ ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করা ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

সভায় সংশ্লিষ্ট আইনের উপর নাগরিক ও অংশীজন থেকে প্রাপ্ত মতামতের উপর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে প্রাথমিক খসড়াটি প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সংশোধিত খসড়া প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ভাষা প্রমিতীকরণের জন্য পাঠানো হবে।

সভায় জানানো হয়, মতামতের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে দেশের নাগরিক ও অংশীজন থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায় হতে আড়াইশোর অধিক সুস্পষ্ট শ্রেণিগত মতামত পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত সংক্ষিপ্ত মতামত হাজারেরও অধিক। এসব মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়, তার মধ্যে আছে ব্যক্তি জমি, খাসজমি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি দখল সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও এর প্রতিকার, প্রতিরোধ, শাস্তির বিভিন্ন দিক এবং ভূমির অবৈধ ও যথেচ্ছ ব্যবহারে আর্থসামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব।

এছাড়া, ভূ-সম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের ও শ্রেণির চিহ্নিত অপরাধের ধরণ ও শ্রেণি কমিয়ে আনারও সুপারিশ করা হয় সভায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, একই ধরণের অপরাধগুলো সার্বিকভাবে একই ধারায় নিয়ে আসলে আইনের কলেবর আরো ছোটো হবে। এছাড়া কোনো কোনো অপরাধে জেল-জরিমানা দুটোরই বিধান রাখার সুপারিশ করা হয়। সভায় বেশ কয়েকজন আলোচকবৃন্দ প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে আইনের খসড়া তৈরি থেকে বের হয়ে এসে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যুগোপযোগী কাঠামো ব্যবহার করেও আইনের খসড়া প্রস্তুতের ওপর জোর দেন।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (আইন) মোঃ খলিলুর রহমান সহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।