প্রধান মেনু

চট্রগ্রামে ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মনিটরিং করতে অ্যাপস চালু করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

চট্রগ্রাম, ২৬ চৈত্র (৯ এপ্রিল) : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে রিয়েল টাইম অ্যাপস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে সকল পর্যায়ে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। মিল পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ভোক্তা যাতে স্বস্তিতে থাকেন, সে জন্য যা করা দরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাই করবে। চট্রগ্রাম বন্দর এবং খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার যদি স্বাভাবিক কাজ করে, তাহলে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ে সমস্যা হবার কথা নয়। চট্রগ্রামের ব্যাবসায়ীগণ সারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্যই কাজ করে, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে। চলমান বিশ্ববাণিজ্যে অস্থির পরিস্থিতিতেও সরকার আন্তরিকতার সাথে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকার পরও সরবরাহে ঘাটতি বা মূল্য বৃদ্ধি হবার কথা নয়। সরকার ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক উঠা-নামা করলে সেটা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখলে বাজার মনিটরিং এর প্রয়োজন হয় না। তাই ব্যবসায়ীদেরও এর দায়িত্ব নিতে হবে।

চট্রগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টারে আজ (৯ এপ্রিল) দি চিটাগাং চেম্বার এন্ড কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায়’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ সব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ বলেন, পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে মিলার হতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সাপলাই চেইন নির্বিঘ্ন রাখা, বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখা, প্রত্যেক দোকানে  ক্রয়-বিক্রয় এর মূল্য তালিকা প্রদর্শন, পণ্য পরিবহনকে বাধা মুক্ত রাখা, চট্রগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ১৩ টন ওজনের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে শুল্ক সমন্বয় করা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তা সমন্বয় করা, ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা, এইচএস কোড কোনো কারণে ভুল হলে উচ্চহারে জরিমানা না করে তা সংশোধনের সুযোগ দেয়া, আমদানি, মিলার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিকভাবে লভ্যাংশ নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সঠিক সময়ে পণ্য বাজারে এলে কোনো সমস্যা হবে না।