নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সের আইডি প্রদান করার কাজ চরছে — বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ চৈত্র (৩০ মার্চ) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নারী উদ্যোক্তারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছেন। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা সহজ করতে নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সের আইডি প্রদান করার কাজ চলছে। এতে করে নারী উদ্যোক্তাগণ সহজেই সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারবে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা প্রদান করবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে উইমেন এন্ড ই-কমার্স (উই) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘৫ম উই কালারফুল ফেস্ট-২০২২’ এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছেন, এ মাসে তাঁরই নেতৃত্বে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন পূরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তা স্বপ্ন নয় বাস্তব। দেশের মানুষ ডিজিটাল সেবা ভোগ করছেন। কোভিড-১৯ আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে, তবে প্রসার লাভ করেছে ই-কমার্স। ই-কমার্স দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়েছে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক, দ্বিতীয় রপ্তানি খাত হতে যাচ্ছে আইসিটি।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের মানুষ ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে। দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেটে এর সাথে যুক্ত রয়েছেন। ই-কমার্সে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন তথ্যপ্রযুক্তির সাথে যুক্ত। দেশের মানুষের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সহজ করা হয়েছে। সংকটময় মুহুর্তে দেশের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। মানুষ ব্যাংকের অনলাইস সুবিধা ভোগ করছে, প্রায় ১১ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা নিচ্ছেন। দেশের নারীসমাজ ই-কমার্সে অনেক এগিয়ে এসেছেন। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার ধানমন্ডিতে ম্যারিয়োট কনভেনশন সেন্টারে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে। তৈরি পোশাক, হস্ত শিল্প পণ্য, শাড়ি মসলাসহ দেশীয় পণ্যের প্রায় ৮৮ জন উদ্যোক্তা তাদের পণ্য নিয়ে ফেস্টে অংশ নিয়েছেন।