প্রধান মেনু

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় গণহত্যা দিবস-২০২২ পালন

জেদ্দা (সৌদি আরব), ২৬ মার্চ : জেদ্দাস্থ বাংলদেশ কনস্যুলেট জেনারেল গতকাল “গণহত্যা দিবস” যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ১৯৭১ সালের এই দিনে সংগঠিত ইতিহাসের নৃশংস ও বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের ওপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ২৫ মার্চ কালোরাতে নিহত শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ০১(এক) মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাক-আউট ও নীরবতা পালন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং সকল সংগ্রামে তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি ২৫ মার্চ কালো রাতে নৃশংস হত্যাকান্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়াও, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক এবং দেশের সকল জনগণ যাদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গণহত্যায় শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন এর অবদানের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বমানবতার ইতিহাসে ২৫ মার্চ একটি কালো অধ্যায়; এমন গণহত্যা আর কোথাও ঘটেনি। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করে যা ইতিহাসে বিরল। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করেছে যা বিশ্বে রোল মডেল। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ একাত্তরে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গণহত্যায় শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং হজ অফিস, বাংলাদেশ বিমান অফিস ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।