দেশের উন্নয়ন করে বলেই আওয়ামীলীগের বিচার করতে চায় বিএনপি — স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ) : স্থানীয় সরকার, মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে বলেই বিএনপি ও তাদের নেতারা আওয়ামীলীগের বিচার করতে চায়।
আজ রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দারিদ্র্য দূর করেছে, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, গৃহহীনদের ঘর দিয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক করেছে, দেশে ডিজিটাইজেশন হয়েছে, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেল, রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দরসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের সকল সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছে। সর্বোপরি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এগুলো আওয়ামী লীগের অপরাধ। এগুলোর নাম দেশ ধ্বংস করা। এজন্য বিএনপি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিচার করবে। এছাড়া তো বিচারের হুমকি দেয়ার আর কোনো কারণ নেই।’
মন্ত্রী আরও বলেন, একশো বিলিয়ন ডলারের দেশ এখন চার শো বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, হত্যা, সন্ত্রাসী-গুন্ডামি কমেছে, নারীরা সম্মান নিয়ে একাকি ঘুরতে পারছে। এসব কাজ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভালো লাগে না। দেশ এগিয়ে যাক তারা তা কখনোই চায় না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাঙালিকে ফকির-মিসকিনের জাতি হিসেবে রাখতে চায়। কিন্তু ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি এবং হুমায়ুন কবির।