প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধু বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষভাষীসহ বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় আদর্শ– মোস্তাফা জব্বার

নেত্রকোনা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) : বঙ্গবন্ধু বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষসহ বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় আদর্শ। এই অঞ্চলে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের পিতার আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যতো বেশি জানা যাবে ততো বেশি উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া যাবে। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী  বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করার জন্য শিক্ষার্থীসহ নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ নেত্রকোনায় বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সুব্রত কুমার বক্তৃতা করেন।

বঙ্গবন্ধু চিরকাল শোষিতের পাশে দাঁড়িয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি এ অঞ্চলের বাঙালিদের খাঁটি প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি সুনির্দিষ্টভাবে একটি ভূখণ্ডকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, নেত্রকোনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। মন্ত্রী নেত্রকোনাকে লোকজ সংস্কৃতির ভাণ্ডার বলে উল্লেখ করেন। তিনি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি লোকজ সংস্কৃতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ও একটি লোক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ অসাধারণ শেকড়ের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। পৃথিবীর অনেক উন্নত জাতিরই তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস  বা নিজস্ব সংস্কৃতি নেই।মন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে চাকরির দক্ষতা অর্জনের জন্য পাঠ্যসূচির বাইরে ডিজিটাল দক্ষ করে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করেন।