পররাষ্ট্রমন্ত্রী – ইউএন সাধারণ পরিষদ সভাপতি – বৈঠক জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা

নিউইয়র্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি: জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ, তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ও ফলপ্রসু নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) আব্দুল্লাহ শাহিদ। গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ প্রশংসা করেন তিনি। আব্দুল্লাহ শাহিদ বলেন, এ মূহুর্তে বাংলাদেশ ইউএন উইমেন নির্বাহি বোর্ডের সভাপতি, পিসবিল্ডিং কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আইএমআরএফ-এর কো-ফ্যাসিলেটেটর হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
সভায় ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এর আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ এবং পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা বিষয়ক দুটি প্রস্তাব পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ তহবিল ব্যবহৃত হওয়ায় তহবিল ঘাটতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করা হলে এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (এসএসসি) এর আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম এসএসসি’র বিষয়ভিত্তিক আলোচনা আরো এগিয়ে নিতে চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-এর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া, তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং কোভিড-এর টিকাকে ‘সার্বজনীন বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতিও উল্লেখ করেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবসমূহকে স্বাগত জানান।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনাকালে রোহিঙ্গা শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষাদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যে সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে, তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত না যাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।