কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপন

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সকাল ০৯ঃ৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতপর অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই ভাষা শহিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বারো সদস্যের একটি নৃত্য প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদল ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করে, যা দর্শকদের বিমুগ্ধ করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজ বিশ^বাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।