প্রধান মেনু

একুশের চেতনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বাঙালিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে — ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারি) :  ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, একুশের চেতনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি বাঙালিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলা ভাষার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশ্বপরিচয়ে বাঙালি হয়ে উঠবে অনন্য এক শক্তিশালী ও সম্মানিত জাতি।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা  দিবস-২০২২  উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পবিত্র কোরআনখানি,  আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা আল্লাহ পাকের এক মহা নেয়ামত। প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা ভাষার নেয়ামত দান করেছেন।মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষায় নিজের ভাব প্রকাশ করা মানুষের জন্মগত অধিকার। এই অধিকার রক্ষার আন্দোলন করেই বাংলার দামাল ছেলেরা পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতৃভাষা প্রত্যেকটি জাতির জাতিসত্তা বিকাশের অনবদ্য মাধ্যম। মাতৃভাষা আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা সমৃদ্ধ মর্যাদা দিয়ে থাকে। মাতৃভাষার মর্যাদার ওপর ভিত্তি করেই একটা জাতিকে এগিয়ে যেতে হয়। এই পথচলায় বিপত্তি ঘটে পরাধীন জাতির। তাই বাংলাদেশের জনগণকে জ্ঞানের সব স্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ বৃদ্ধিতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভাষার অধিকারের পথ ধরেই গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অধিকারের দাবি উচ্চারিত হয়েছিল। শুরু হয়েছিল স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের সংগ্রাম। এরপর ’৭০-এর নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহিদদের রক্ত বৃথা যায়নি। ভাষা  শহিদদের  কল্যাণেই এখন ‘আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস’-এর স্বীকৃতি পেয়ে বাংলা গৌরবের আরেক ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পবিত্র কোরআনখানি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মোঃ মতিউল ইসলাম, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ফারুক আহাম্মেদ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার।

অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদগণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী বীর শহিদগণের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসুল্লি দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।