উন্নয়নশীল দেশে অধিকতর টেকসই ও উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ঢাকা, ২ ফাল্গুন (১৫ ফেব্রুয়ারি): পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় উন্নত দেশ থেকে স্বল্প মূল্যে অধিকতর সবুজ, টেকসই এবং উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি।
মন্ত্রী গতকাল জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারসমূহ’, শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন। জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য করণীয়সমূহ তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, ২০১১-১৩ মেয়াদে সিভিএফ সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্বপালনের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের এ ফোরামের সভাপতিত্ব করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবসমূহ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন। একইসাথে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যক্রমসমূহও তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অভিহিত করেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ অতিদ্রুত নিরসন করার জন্য উন্নত দেশসমূহের প্রতি আহবান জানান। বিশেষ করে, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ সকল দেশসমূহের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাবসমূহ প্রশমনে জোর দেন।
অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনিও আইওয়েলা, বিশ্ব মেধাসত্ত্ব সংস্থার মহাপরিচালক ড. দারেন তাং, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপমহাসচিব ইসাবেল ডুরান্ট, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপমহাপরিচালক হিরোশি কুনিওশি, সিভিএফ সভাপতির বিশেষদূত মো: আবুল কালাম আজাদ, সাউথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. কর্লোস মারিয়া কোরেয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ভারত ও বার্বাডোসের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।