প্রধান মেনু

বিদ্যুতায়নের ফলে মানুষের মাঝে কর্মতৎপরতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে — বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ইসলামপুর, জামালপুর, ২৫ মাঘ (৮ ফেব্রুয়ারি) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দুর্গম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় যুক্ত করা হয়েছে। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে যমুনার তলদেশ দিয়ে দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধার কথা মানুষ কল্পনাও করতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী নেতৃত্বের ফলে তা আজ বাস্তবরূপ লাভ করেছে। তিনি বলেন, যমুনা চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই বিদ্যুৎ সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আজ ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে গ্রাম বিদ্যুতায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ও উদ্বোধকের বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনার পশ্চিম তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের ২১টি গ্রামে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করা হলো। দুর্গম যমুনার চরাঞ্চলে ২টি সাব মেরিন কেবলের মাধ্যমে ৮৯ কি. মি. এলাকায় ২ হাজার ৮৮৮টি সংযোগ প্রদান করে ২০ হাজার জন মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ স্লোগানকে ধারণ করে দেশের দুর্গম এলাকার প্রতিটি ঘরকে সরকার বিদ্যুতায়িত করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রতিটি ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পারা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী বিধৌত দক্ষিণ অঞ্চলসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিদ্যুতায়নের ফলে মানুষের মাঝে কর্মতৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষ উৎপাদশীলতায় যুক্ত হয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজে যুক্ত হয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে।

এর আগে সকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভার চর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ এবং গাইবান্ধা ইউনিয়নের নছিমন নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থানীয় সরকার বিভাগের Income Support Programme for the Poorest (ISPP)- যত্ন প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্তা নারী এবং শূন্য থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুর মায়েদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালের চর ইউনিয়নের ১ হাজার ৩৪৯ জন উপকার ভোগীর মাঝে ১ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮ শত টাকা এবং গাইবান্ধা ইউনিয়নের ১ হাজার ৩৯৪ জন উপকারভোগীর মাঝে ১ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার একশত টাকা নগদ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানেসমূহে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্র মায়েদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে যত্ন নামের পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প চালু করেছেন, যা দেশের ৭ জেলার ৪৩টি উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে।

যত্ন প্রকল্পের নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান দু’টিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।