প্রধান মেনু

রাজবাড়ীতে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

তাওহিদুল ইসলামঃ দেশের আইন কে অমান্য করে ইটভাটা তে দিনরাত পুড়ছে কাঠ যা কিনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ মোড় সংলগ্ন ধুলদি জয়পুরের ডি এসবি ইটভাটাতে জ্বালানি হিসাবে দিনরাত পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পরলেও
এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতরা বেশিরভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় প্রশাসন।এদিকে অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য, বিনষ্ট হচ্ছে চিরচেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ। নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক ধুলদি জয়পুরের এলাকাবাসী বলেন, একেতে এই ভাটাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তারপরেও এলাকাতে রয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব কিছু জানার পরেও  ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর নীরব ভূমিকা পালন করছে কেন ? এ বিষয়ে ডি এসবি ইটভাটার মালিক মোঃ সেকেন দেওয়ান এর কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কে বলেন,ইটভাটা কিভাবে চালাতে হয় সেটা আমি জানি আপনি আমার ভাটার ম্যানেজারের সাথে দেখা করে আসলেই সব ঠিক হয়ে যাবে । ফলে সাধারণ মানুষের দাবী এসব ইটভাটা বেশিরভাগই  লোকালয়ের মধ্যে গড়ে তোলার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, কৃষকের ফসলি জমি ও গাছপালা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন প্রকার কয়লা ছারাই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে শত শত মণ কাঠ। তবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণেও মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা সহ রোগ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।এ বিষয়ে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ, এইচ, এম, রাসেদ বলেন, রাজবাড়ীতে গত বছরে অনেকগুলা ইটভাটা আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি,ও বিভিন্ন সময়ে জরিমানা করেও আসছি।আর আমিও ধুলদির দিকে খোজ খবর নিয়েছি রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে কয়েকটি ভাটা। তবে সীমিত সময়ের মধ্যে যে সব ভাটার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে সেইসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।