প্রধান মেনু

সিউলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

ঢাকা, ৪ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) : বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল-এর উদ্যোগে আজ ‘শতবর্ষে জাতির পিতা, সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ প্রতিপাদ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে পাঁচটি ক্যাটেগরিতে মোট ১৭ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীকে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী নিয়োগের জন্য ১০ জন কোরিয়ান নিয়োগকর্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় কোভিড-১৯ এর ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে এদেশের সরকারের সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের বাণীসমূহ পর্যায়ক্রমে পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর কাউন্সেলর (শ্রম) মিজ মকিমা বেগম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রশংসা করেন এবং পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের অভিনন্দন জানান। অতঃপর কোরিয়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও কল্যাণ পরিষেবার মহাব্যবস্থাপকের দেওয়া একটি পূর্ব ধারণকৃত শুভেচ্ছামূলক ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁদের অবদানের কথা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের কর্মনিষ্ঠা, আনুগত্য এবং দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণার্থে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে দূতাবাসের পরিকল্পনাসমূহও তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি কর্মীদের আনুগত্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা এবং যেকোন সমস্যায় এই দূতাবাসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। অতঃপর রাষ্ট্রদূত মনোনীতদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিলো ইপিএস কর্মী ও দূতাবাসের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং দূতাবাস কর্তৃক প্রযোজিত জনসচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন। পরিশেষে, অংশগ্রহণকারীদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।