সকল ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা– স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ অগ্রহায়ণ (২৭ নভেম্বর) : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, হাজার বছর ধরে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস এদেশে। সকল ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সকলে মিলে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। এদেশে যখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস উত্থান হয়েছিল তখন আমরা সকলে মিলেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করেছি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।
মন্ত্রী বলেন, সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করবে আমরা সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূরন্ত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা সকলে মিলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশের সম্প্রীতি পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায় একটি কুচক্রীমহল। কোনোভাবেই তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়া হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসাররতা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ একটি দেশের স্বপ্ন গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংযোজন করেছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ কোটি টাকার এনডাওমেন্ট তহবিল ছাড়পূর্বক ট্রাস্টের নামে ১টি স্থায়ী আমানত করেছে। গত ১২ বছরে ট্রাস্টের এনডাওমেন্ট তহবিলের আয় থেকে ৪৭২টি চার্চ, গির্জা, উপাসনালয়ের নির্মাণ, সংস্কার, মেরামত ও উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ৫৫টি গির্জা ও সেমিট্রিতে ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। শুভ বড়দিন-২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ খ্রিস্টাব্দ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ৪০২টি চার্চ, গির্জা, উপাসনালয়ের অনুকূলে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, এডভোকেট ঝর্ণা গ্লোরিয়া সরকার এবং বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, দি খ্রিস্টান কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ঢাকা এর প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ গিলবার্ট কস্তা প্রমুখ।