প্রধান মেনু

বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে-সজীব ওয়াজেদ জয়

ঢাকা, ২৭ কার্তিক (১২ নভেম্বর) : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশে আগামীদিনে চতুর্থ বিপ্লবের বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সে সক্ষমতা অর্জনে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তিনি বলেন, শুধু অন্যের প্রযুক্তি গ্রহণ করা নয়, আমরা এখন প্রযুক্তির পরবর্তী প্রজন্মের নেতা হতে চাই। পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করতে চাই।

 উপদেষ্টা গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১ উপলক্ষ্যে “এনস্যুরিং এন ইনক্লুসিভ, ট্রাস্টেড এন্ড সাসটেইনেবল ডিজিটাল সোসাইটি” (Ensuring an Inclusive, Trusted and Sustainable Digital Society) শীর্ষক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কী-নোট স্পিকারের বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সেমিনারে সরাসরি প্যানেলে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন  সোমালিয়ার যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী আদ্রিস শেখ আহমেদ এবং মালদ্বীপের জলবায়ু ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোহাম্মাদ শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এটুআই এর পলিসি এডভাইজার  আনীর চৌধুরী। এছাড়া ভার্চুয়ালি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঘানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক সি এস অ্যন্থনি, ফিলিপিনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগিব সিনারিম্বো এবং উইটসা মহাসচিব জেমস পয়স্যান্ট।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে উপদেস্টা বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য হল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ডিজিটাল সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে এর সুফল বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া।

 উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামী দিনের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সহযোগী হতে হবে। সমস্যার সমাধান ও উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে, তাহলেই এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে। এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশিদের জন্য শতভাগ মালিকানার নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ধরণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যারা ফ্যাক্টরি বা তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগে তৈরি অবকাঠামো সুবিধা নিতে চান তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।

বর্তমানে স্যামসাংসহ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে জয় বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম কনজুমার মার্কেট, এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে। এখানে স্টার্টআপদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে।

বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আইসিটি সেক্টরের প্রসারে আইটি সংযুক্ত পোর্টালগুলি নাগরিকদের সহজে সংযুক্ত হতে সাহায্য করছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে।’