প্রধান মেনু

স্বপ্নহীন-ভাষাহীনকে স্বপ্ন ও ভাষা দিতে পারে সাংবাদিকরা একশনএইড রিপোর্টিং পুরস্কারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সমাজে যারা স্বপ্ন দেখতেও ভয় পায়, তাদেরকেও একজন সাংবাদিক স্বপ্ন দেখাতে পারে। সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা কষ্ট বেদনার কথা কাউকে বলতে পারে না, যাদের কষ্ট-বেদনার কথা কেউ ভাবে না। একজন সাংবাদিক তার কলমের মাধ্যমে, তার রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে, পত্রিকায় এমনকি অনলাইনে তার কথাগুলো বলতে পারে। তার মুখে ভাষা দিতে পারে এবং তাকে সাহস জোগাতে পারে।

আজ ঢাকায় একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘একশনএইড ইয়াং জার্নালিস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে নিউজ ২৪ চ্যানেলের সিনিয়র বার্তা সম্পাদক বোরহানুল হক সম্রাট, একশনএইড বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী তরুণ সাংবাদিকদের জন্য পুরস্কার প্রবর্তন করায় একশনএইডকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই পুরস্কার তরুণ সাংবাদিকদের পেশাগতভাবে উৎসাহিত করছে। একজন সাংবাদিক সমাজকে পথ দেখাতে পারে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করতে পারে, সমাজ যেদিকে তাকায় না সেদিকে সমাজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে। পত্রিকায় আবার শিশুদের পাতা প্রবর্তন করলে ভালো হবে, শিশুরা শিখবে, লিখবে এবং এই লেখা জীবন সংগ্রামের পথে, স্বপ্ন পূরণের পথে তাদেরকে সহায়তা করবে, বলেন তিনি।

একই সাথে একজন সাংবাদিকের ভুল রিপোর্টিংয়ের কারণে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটিও মাথায় রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভালো রিপোর্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে গত দশকে গণমাধ্যমের গাণিতিক বিকাশ ঘটেছে কিন্তু ভালো রিপোর্টিং করার প্রশিক্ষণ সেভাবে হয় না। এদিকে সুনজর দেয়া আবশ্যক।

অনুষ্ঠানে তিনজন তরুণ সাংবাদিক বিটিভি’র মোঃ ইকবাল হোসেন, দ্য ঢাকা অ্যাপোলগের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর মিফতাহুল জান্নাত এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোঃ শরফুল আলমকে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। নিউজ২৪ এর সাংবাদিক বাবু কামরুজ্জামান, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক নীলিমা জাহান, দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক এম ইউসুফ আলী ও আইপিনিউজবিডি প্রধান প্রতিবেদক সতেজ চাকমাকে ফেলোশিপ দেয়া হয়।