কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ জয় করে বাংলাদেশ এ বছর ৫.৫% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে—ব্যাংককে ইউনেস্কাপের সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

ব্যাংকক, ২০ অক্টোবর : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কোভিড-১৯ আমাদের উন্নয়নের পথে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে যখন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ এর অধিক সংকোচন দেখা যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ এবং ৫ দশমিক ৫ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
আজ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শুরু হওয়া জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ)-এর ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, দারিদ্র্যহ্রাস এবং উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন’ সংক্রান্ত কমিটির তৃতীয় অধিবেশনে ভার্চুয়ালি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মন্ত্রী একথা বলেন। ইউনেস্কাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির বিশেষ আমন্ত্রণে তিনি অধিবেশনে যোগদান করেন। এ কমিটির অধিবেশন প্রতি দু’ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা যোগদান করে থাকেন।
সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে অর্থমন্ত্রী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নেতৃত্বের প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য সর্বজনীন এবং সাশ্রয়ী টিকা নিশ্চিত করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় অনন্য অবদান রাখায় গর্ব অনুভব করে বাংলাদেশ। একইভাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অন্যান্য বেসামরিক কার্যক্রমেও সরাসরি অবদান রাখতে আগ্রহী।
প্রমাণকভিত্তিক নীতি বিশ্লেষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চাহিদাভিত্তিক আঞ্চলিক উপদেষ্টা পরিসেবার মাধ্যমে ইউনেস্কাপ বাংলাদেশকে বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা তৈরি করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগকে গভীর করতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সেইসাথে সকল স্বার্থ সংশ্লিস্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সমর্থন ও বহু অংশীদারিত্ব বিকাশে সহায়তা করবে। তিনি ইউনেস্কাপ এর একটি বিষয়ভিত্তিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। সদস্য দেশগুলিকে তাদের উপযুক্ত সামষ্টিক-অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করতে পারে এমন সামষ্টিক-অর্থনৈতিক নীতি-পরামর্শ দিতে এই গোষ্ঠী সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সম্মেলনে মূল কমিটির আলোচনার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা ও সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।