প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল — ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরনী থেকে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

আজ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, ধানমন্ডি ৩২, ঢাকায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো সভ্য দেশে হত্যার বিচার হতে পারবে না- এমন জঘন্যতম আইন পাস হতে পারে না। কিন্তু কি অদ্ভুত, এই আইনটি সেদিন বাংলাদেশে পাস হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই জাতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার পেয়েছে। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবার প্রত্যাশা পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাস করেছিল, যারা এই আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।