প্রধান মেনু

প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি কখনোই অন্য ধর্মকে হেয় করে না—ধর্ম প্রতিমন্ত্রী  

ভোলা , ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি কখনোই অন্য ধর্মকে হেয় করে না। প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট তাঁর ধর্ম পবিত্র।

প্রতিমন্ত্রী আজ  ভোলা জেলা প্রশাসন সভাকক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার আওতায়  “আন্তঃ ধর্মীয় সংলাপ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, যারা দেশের  বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না,  তারাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ট করে আশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।  তিনি বলেন, তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সমাজের দুষ্টু চক্র অনেক সময় ধর্মীয়  উন্মাদনা তৈরি করে। ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে কেউ যেন সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা  সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সকল জনগণকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ  থাকতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চাহিদার আলোকে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে সরকারের গৃহীত এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে  সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিধি-বিধান, উৎসব ও  অনুষ্ঠানাদি পালন সহজ ও উন্নত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠী মুসলমানদের কল্যাণে  প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে।

ফরিদুল হক বলেন,  বর্তমান সরকার হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করছেন। এই প্রথম “সমগ্র দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও সংস্কার” শীর্ষক  প্রকল্পের মাধ্যমে  ২৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে মোট ২৩৫১টি মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫৪৭টি মন্দিরের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন  পুলিশ সুপার ভোলা সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার আহমদ, নির্বাহী প্রকৌশলী  মোঃ শরীফ উদ্দিন, জেলার প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি, ইমাম সমিতি, আলীয়া মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিও পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের ভোলা শাখার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে ভোলা সদর মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সম্মেলন কক্ষে  অনুষ্ঠিত “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।