প্রধান মেনু

কন্যা শিশুরা বিকশিত হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে—-মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব

ঢাকা, ২০ আশ্বিন (৫ অক্টোবর ) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, ‘কন্যা শিশুরা বিকশিত হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। কন্যা শিশুর পড়াশোনা, সুরক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার সকলের দায়িত্ব রয়েছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে। প্রতিটি কন্যা শিশুরই রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তারা সমান সুযোগ পেলে অধিকতর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে’।

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন। এ বছর ‘আমরা কন্যা শিশু-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে উদ্‌যাপিত হচ্ছে এই দিবস।

সচিব বলেন, কন্যা শিশু ও ছেলে শিশু আলাদা কিছু না। তারা সবাই শিশু। কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় পরিবার থেকে। এই বৈষম্য আমাদেরই রোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কন্যা শিশুর শিক্ষা ও বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বাল্য বিয়েকে “না” ও নিজেদের বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের কথা তুলে ধরলেন সাহসী কন্যা শিশু এবং কিশোরীরা। ঢাকার গেন্ডারিয়ার আমেনা আক্তার বৃষ্টিকে অল্প বয়সে তার পরিবার বিয়ে দিতে উদ্যোগী হলে নিজেই সে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। শুধু নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে থেমে থাকেনি, বৃষ্টি তাঁর এলাকায় এপর্যন্ত বিশটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে।

জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি রাবেয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। এছাড়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, অতিরিক্ত সচিব মো.মুহিবুজ্জামান ও নাছিমা আক্তার জলিসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।