জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৯ আশ্বিন (৪ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৫ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে দেশের সকল কন্যাশিশুর প্রতি রইল আমার আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা। এবছর জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমরা কন্যাশিশু – প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকল আন্তর্জাতিক ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে ‘সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এসডিজি’র ৫নং অভীষ্ট সরাসরি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ নিরোধ, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সরকার এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বে যে তিনটি দেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। আমি আশা করি, বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনেও সফল হবে। নারীর সার্বিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ সমাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে কন্যা শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কন্যাশিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য। বর্তমান সরকার কন্যাশিশুর উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে অধ্যয়নসহ এক কোটি ৪০ লক্ষ মেয়ে শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করছে। এর ফলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষার হার বেড়েছে। মেয়েরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে ঈর্ষণীয় সফলতা প্রদর্শন করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকার কারণে আমাদের নারী ও মেয়েরা আজ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। আমি কন্যা শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”