প্রধান মেনু

পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার– স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে ভবিষ্যতে বর্ধিত পানির চাহিদা পূরণ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।

মন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্পের ইন্টেক পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সায়দাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ফেইজ-৩) সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা নগরবাসী এবং শিল্প কলকারখানায় পানি সরবরাহে কোনো সমস্যা থাকবে না। ঢাকা শহরে আগামী দিনে পানির যে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ঢাকায় পানি সরবরাহে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে এটি ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে এবং এ থেকে প্রতিদিন পঞ্চাশ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, মেঘনা নদীসহ বিভিন্ন নদী থেকে পানি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দূষণ মুক্ত করে নেয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের নাগরিকের বাসায় ওয়াটার রির্জাভে পানি পৌঁছাতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সক্ষম হচ্ছে।

পদ্মা-জশলদিয়া ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ঢাকা শহরে পানি আসার কথা উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ঐ প্ল্যান্টে উৎপাদিত সম্পূর্ণ পানি শহরে নিয়ে এসে মানুষের বাসায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিদেশি একটি সংস্থা এই সরবরাহ লাইনে অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এটি না হলে সরকার নিজস্ব অর্থায়নেই পানির এই সংযোগ লাইন স্থাপন করবে।

পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের ন্যায় গন্ধবপুর প্রকল্পেও সংযোগ লাইন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে একই ঘটনা ঘটবে না। কারণ এখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং সংযোগ লাইন তৈরির কাজ সমানতালে এগিয়ে চলছে।

তিনি জানান, মানুষের নিকট পানি পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা ঢাকাসহ সকল ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পৌরসভাসহ অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যার ফলে দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশের বেশি মানুষ এখন সুপেয় পানি পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ১শ’টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। এগুলোতে শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা গড়ে উঠবে। যেখানে ব্যাপক পানির প্রয়োজন হবে। এই চাহিদা পূরণ করতেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

এসময় তিনি ইনটেক পাম্পিং স্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে, বিআইডব্লিউটিএ’র একটি জাহাজযোগে মেঘনা নদীর দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, এডিবি ও কেএফডব্লিউ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।