বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে– মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সম্পূর্ণ বিচার হয়নি। আংশিক বিচার হয়েছে। সে দিন যারা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল এবং ষড়যন্ত্র যারা জেনেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি, আমাদের দেশের দণ্ডবিধি অনুসারে তারাও অপরাধী। সে দিন বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা দেওয়া যাদের দায়িত্ব ছিল, যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন যাদের গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তাদেরও বিচার হওয়া দরকার ছিল। কমিশন গঠন করে অথবা ফৌজধারী কার্যবিধি অনুসারে নতুন চার্জশিট দিয়ে অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর খুনি বা ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে আইনে কোথাও কোনো বাধা নেই।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা না আসলে কোনোদিন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনা দৃঢ়তা ধারণ করে যা করবেন এটা অনেকে করবেন না। তাই নতুন করে সূচনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে, ষড়যন্ত্রের সাথে, দায়িত্বে গাফিলতির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটা বিশ্বাস, একটা প্রেরণা, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় জীবনের সবকিছুতে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত থাকা একটি সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি দৃপ্ত প্রত্যয়।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেখানে সূচনা করেছেন, সেটাই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু প্রথম সমুদ্র আইন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় আমরা তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশর প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু মাছ আহরণের জন্য প্রথম ট্রলার নিয়ে এসেছেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। বঙ্গবন্ধু যা শুরু করেছিলেন সেটা সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান, বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।