প্রধান মেনু

দেশ ও বিদেশের ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৫ আগস্টের মতো নৃশংস ঘটনা বাংলাদেশের মাটিতে কখনো যেন না ঘটে সেজন্য দেশ ও বিদেশের ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই। দেশের অভাবনীয় সাফল্যে শত্রুর সংখ্যা বাড়তে পারে এবং তাদের মোকাবিলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

গতকাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ভার্চুয়ালি মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও সফলতার সাথে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময় গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও আদর্শ এবং তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও অর্জনের বিষয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানান তিনি ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো। তিনি সারাজীবন মানুষের সেবায় একাগ্রচিত্তে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। মানুষের সকল ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসার জন্য জাতির পিতা আমাদের হৃদয়ে অক্ষয় হয়ে আছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।

ড. মোমেন বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতায় সংবর্ধনায় কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোন সংগ্রাম করলে তারা অবশ্যই তা অর্জন করতে পারবে। প্রায় ৪৩ বছর পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু  তা প্রমাণ করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়ন তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। বিশ্বে সংঘাত দূর করে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি চালু করেছেন। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্বে কেউ উদ্বাস্তু হবে না। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনন্য মানবিক গুণাবলীর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং নারী ক্ষমতায়নে তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।