নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ, ১১ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ রোজ বুধবার পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার কলেজ পাড়া মোড়ে আনুমানিক ১ঃ৫ মিনিটের দিকে সোনা নিশি নামে এক বয়স্ক লোক ক্ষুধায় কাতরাচ্ছিলেন। সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন কিছু খাবার জন্য। পানি পানি করে চিৎকার করছিলেন। কিন্তু তার পাশে কেউ আসলেন না। সবাই ভেবেছিল লোকটি হয়তো পাগল তাই তার কথা কেউ বিশ্বাস করছিলেন না।

কলেজপাড়া মোড়ে করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশন বুথে কাজ করছিলাম আমি ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাঙ্গুড়া পৌর শাখার সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষক সমিতি ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুস সামাদ মাষ্টারের তৃতীয় পুত্র শেখ সাখাওয়াত হোসেন (বি.এ)।

আমি শেখ সাখাওয়াত হোসেন (বি.এ) বয়সের ভারে হেলে পড়া লোকটির কাকুতি-মিনতি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বুথ থেকে উঠে ওই বৃদ্ধ লোকটির পাশে গিয়ে পুরি,সিঙ্গারা,সেবেনআপ,কলা,পাওয়া রুটি ও ফ্রেশ পানি নিয়ে বৃদ্ধ লোকটিকে খাইয়ে দেই। খাওয়ানোর শেষে বৃদ্ধ লোকটি আমার মাথায় হাত রেখে প্রাণভরে দোয়া ও আশীর্বাদ করেন।

জানা যায়, ওই বৃদ্ধের বাড়ী পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করোকোলা গ্রামে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন কুলি। এক সময়ে অনেক ভারী ভারী বস্তু মাথায় বহন করলেও এখন বয়সের ভারে তার নিজের চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বৃদ্ধ লোকটিকে খাওয়ানোর শেষে আমি শেখ সাখাওয়াত হোসেন (বি.এ) জিজ্ঞেস করি আপনি কোথায় যাবেন, উত্তরে তিনি বলেন আমি অষ্টমনিষা যাবো। কিন্তু বেটা আমার কাছে তো ভাড়া নেই। সঙ্গে সঙ্গে আমি বলি, আপনার কোন চিন্তা নেই। আমি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি আপনি চলে যেতে পারবেন।

তারপর ওই বৃদ্ধ লোকটিকে কোলে করে ভ্যানে তুলে দেই এবং ভ্যান ভাড়া দিয়ে দেই। উক্ত বৃদ্ধটিকে বিদায়ের পরে এমন মহৎ কাজটি করার জন্য কলেজ পাড়া মোড়ে উপস্থিত উৎসুক জনতা অসংখ্য ধন্যবাদ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আমাকে। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারি সারাজীবন।