প্রধান মেনু

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে– পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো,  বিদ্যুৎ, কৃষি ও পর্যটনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।  বর্তমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরো বেগমান ও ত্বরান্বিত হবে।

আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল পিছিয়ে ছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছিলেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলমান সংঘাত নিরসনে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শান্তি চুক্তির ফসল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও আন্তরিকতার ফলে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার অধিকাংশ উপজেলায় আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে, ইউএনডিপির ২৬৪ টি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৫০০ পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ  সরবরাহ করা হয়েছে।  আরো ৪০ হাজার পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুপ্রু চৌধুরী। এছাড়া দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।