প্রধান মেনু

সচেতনতা ও  প্রস্তুতিই পারে ভূমিকম্পের ক্ষতি কমিয়ে আনতে– ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২ আষাঢ় (১৬ জুন) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবেলা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করছে।  এ ব্যাপারে জাইকার সাথে শিগগিরই চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণপূর্বক ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য ইস্যুতে কাজ করবে সরকার।

তিনি বলেন, ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার পূর্বাভাস দেয়ার উপায় এখনো বের হয়নি। বড় ধরনের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে তা বলা মুশকিল, তবে জনসচেতনতা ও পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে। এ জন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন।

দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এ এস. এম মাকসুদ কামাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ  সাজ্জাদ হোসাইন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দীন আহমেদ, ব্র্যাক হিউম্যানিট্যারিয়ান কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে  বিশেষজ্ঞগণ ।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করা ও সেগুলো বিল্ডিং কোড মেনে মেরামতের ব্যবস্থা করা, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ সহজ করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মেনে চলা, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত করতে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় যেসব স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন তাদের উপযুক্ত ও ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ভূমিকম্পের পর আহত মানুষকে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা, যারা বেঁচে থাকবে তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ইত্যাদি।

বক্তাগণ ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে বেশ কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন । পরামর্শ সমূহের  মধ্যে রয়েছে ভূমিকম্পের সময়  আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে না নামা, ছাদ থেকে বা জানালা দিয়ে  লাফিয়ে না পড়া, ভবনের পিলারের কাছে অবস্থান করা, প্রাথমিকভাবে টেবিল বা খাটের নীচে অবস্থান করা, ওই সময়  ভবন থেকে নামতে লিফট ব্যবহার না করা, প্রথম ঝাঁকুনির পর দ্বিতীয় ঝাঁকুনির সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় ভবনে প্রবেশ না করা ইত্যাদি।