আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন খাদ্যমন্ত্রীর

আশুগঞ্জ, ১ আষাঢ় (১৫ জুন) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০টি পেডি সাইলো একনেকের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ৫টি সাইলো নির্মাণের জন্য টেন্ডারের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্যে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যবসায়ী ও মিলাররা সৎ না থাকলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ, ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে এবং নানা জটিলতায় কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। সময় বাড়ার কারণে ব্যয় বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আরো ছয় মাস সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ, খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানসহ জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জে এ সাইলো নির্মাণের ফলে খাদ্য অধিদপ্তরের মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ সাইলোর ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৫ মেট্রিকটন। এতে ৩ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার মোট ৩৫টি সাইলো বিন রয়েছে। এ সাইলো বিনে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মজুত চাল প্রায় ২ বছর সংরক্ষণ করা যাবে।