রিজিয়ন কমান্ডারস্ বিজিবি এবং ফ্রন্টিয়ার আইজি বিএসএফ পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত

ঢাকা, ২৮ জুন (১১ জুন) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর রিজিয়ন কমান্ডারস্ (চট্টগ্রাম, সরাইল ও কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টর) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টরস জেনারেল (ত্রিপুরা, মিজোরাম ও কাচার, মেঘালয় এবং গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী (০৭-১১ জুন ২০২১) সীমান্ত সম্মেলন বিজিবি’র দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, রিজিয়ন সদর দপ্তর, চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় ভিডিও টেলিকনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে আজ সমাপ্ত হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী (Brigadier General Tanveer Gani Chowdhury), রিজিয়ন কমান্ডার, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, রিজিয়ন সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুশান্ত কুমার নাথ, আইপিএস এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ভারতের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিনিধিত্ব করেন।
সম্মেলনের শুরুতে বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। পরে সম্মেলনের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, গুলি, আহত ও আক্রমণ, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, আটক ও গ্রেফতার, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধ অতিক্রম ও অনুপ্রবেশ, ভারতীয় অপরাধী, চোরাকারবারী ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা বিজিবি সদস্যদের ওপর আক্রমণ সম্পর্কিত ইস্যু, মাদক, নেশা জাতীয় দ্রব্য, মদ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ, ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।