প্রধান মেনু

শহরের জনদুর্ভোগ যেন গ্রামে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে– স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জ্যৈষ্ঠ (৬ জুন) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিয়ে যাতে শহরের ন্যায় জনদুর্ভোগ তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর দর্শন’ বাস্তবায়ন করা হবে।

আজ স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শহরে যে সকল সমস্যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়েই গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় নগরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অন্যান্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত না করে গড়ে উঠেছে মহানগরী। উন্নয়ন এমন ভাবে করতে হবে যেন শহরের নাগরিকরা যে অসুবিধা ভোগ করে সেগুলো গ্রামে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহরের নানা নাগরিক সমস্যা এবং অবৈধভাবে দখল হওয়া খাল, জলাশয় পুনরুদ্ধারে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের জীবন যাপনে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং চাহিদা অন্তর্ভুক্ত করে উপজেলাভিত্তিক দ্রুত মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের আবাসিক এরিয়া, এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড, গ্রিনাইজেশন, প্লে-গ্রাউন্ড, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শপিংমল, শিল্পাঞ্চল, নদী-নালা, খাল-বিল সংরক্ষণসহ সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। যেখানে সেখানে যাতা তৈরি করে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা যাবে না।

মন্ত্রী আরো বলেন, মাস্টার প্ল্যান শুধু নেওয়ার জন্য নয়, যৌক্তিক কারণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নিতে হবে। যেকোনো জায়গায় বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ক্লাব, মাদ্রাসা, কবরস্থান এভাবে চলতে দিলে দেশকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।

মন্ত্রী জানান, আমার গ্রাম, আমার শহর কারিগরি সহায়তা শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য পরামর্শক ও সহায়ক কর্মচারী জন্য একটি অফিস স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রস্তাবিত কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে পাইলট হিসেবে ১৫ টি গ্রামকে নির্বাচনের কাজ চলছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকারি নির্দেশনা এবং দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ ইউনিয়ন পরিষদকে দিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বাড়াতে পরিষদকে লোকবল এবং লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএসই এর প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।