প্রধান মেনু

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রথম জাতীয় চা দিবস ৪ জুন

ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২০ জুলাই ২০২০ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  এদিন বঙ্গবন্ধু  চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে মোতাবেক আগামী ৪ জুন ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী  চা প্রদর্শন করা হবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে  জুম প্লাটফর্মে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। দেশে চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, একই সাথে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চা তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক সময় চা পানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও আজ গ্রামের মানুষও চা পান করতে অভ্যস্ত। ফলে চায়ের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭০ সালে যেখানে চায়ের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩১ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি, সেখানে ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ  ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২০ সালে ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২০ সালে ১৯টি দেশে ২ দশমিক  ১৯ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। দিন দিন সেখানে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সেখানে চা উৎপাদন উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং বিডা আয়োজিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিট শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।