প্রধান মেনু

ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ

ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) : বাংলাদেশ আগামী ৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আসন্ন এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে আজ এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করবেন। অন্যান্য ডি-৮ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানগণও ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করবেন । পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন এবং  বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ার-এর দায়িত্ব হস্তান্তর করবে এবং স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ার-এর দায়িত্ব পালন করবে।

ড. মোমেন আরো জানান, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আগামী ৭ এপ্রিল ১৯-তম মন্ত্রী পর্যায়ের ডি-৮ কাউন্সিল  এবং ৫-৬ এপ্রিল  ডি-৮ কমিশনের ৪৩তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯-তম মন্ত্রী পর্যায়ের কাউন্সিলে সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে ডি-৮ অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহের যুব সম্প্রদায় যাতে তাদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চভাবে বিকশিত করে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগহণ করতে পারে সে প্রত্যাশাকে সামনে রেখে সম্মেলনটির আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য Partnership for a Transformative World: Harnessing the Power of Youth and Technology নির্ধারণ করেছে।

আসন্ন দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে ‘D-8 Decennial Roadmap for 2020-2030’ এবং ‘ঢাকা ঘোষণা- ২০২১’ দলিলসমূহ গৃহীত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উক্ত রোডম্যাপ এবং ‘ঢাকা ঘোষণা ২০২১’- এর আওতাভূক্ত কার্যক্রম শীর্ষ সম্মেলন পরবর্তী বাংলাদেশের দুই বছরের সভাপতিত্বে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, দশম শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইন-এ ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ‘ডি-৮ বিজনেস ফোরাম’- এ বাংলাদেশের এফবিসিসিআই, তুরস্কের  দি ইউনিয়ন অভ্ চেম্বারস এন্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অভ তুরস্ক- টিওবিবি-এর নিকট হতে ডি-৮ চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ডি-৮ সিসিআই-এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।

এছাড়াও, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইন-এ ডি-৮ ভূক্ত দেশসমূহের যুব প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ডি-৮ যুব সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠেয় উক্ত যুব সম্মেলনে ডি-৮ ভূক্ত দেশসমূহের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীগণ বক্তৃতা প্রদান করবেন। ডি-৮ ভূক্ত দেশসমুহ থেকে প্রায় দেড়শ যুব প্রতিনিধি যুব সম্মেলন-এ যোগদান করবেন। এছাড়াও, যুব সম্মেলনটিতে “Enterpreneurship for Sustainable Transformation” শীর্ষক বিষয়ে একটি বক্তব্য প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো জানান, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে d8dhaka.com নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেখানে আগামী দুই বছর বিভিন্ন তথ্যাদি আপলোড করা হবে।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে একইসঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। এ ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকায় দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ উক্ত সংস্থাটির পরবর্তী দুই বছরের সভাপতিত্ব লাভ করলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি  হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত আসন্ন দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন-এর কার্টেইন রেইজার-এ পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অংশগ্রহণ করেন।