প্রধান মেনু

অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে– শ ম রেজাউল করিম

ঢাকা, ১৭ চৈত্র (৩১ মার্চ) : দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তেনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিং- ২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, “করোনার সংকটেও দেশকে উশৃঙ্খলতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক একটি মহল মাঠে নেমেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পছন্দ করে না, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ পছন্দ করে না, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পছন্দ করে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলে হাজার বছরের সৌভাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বাংলাদেশ পছন্দ করে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চাইবে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যারা ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর-কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করবে, স্বাধীনতার স্বপ্নে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রেজাউল করিম বলেন, “সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধানের কোন বিধি-বিধানকে অসাংবিধানিক উপায়ে রদ, রহিত, বাতিল, স্থগিত করলে বা করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে তা ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া সংবিধানের বিধানের প্রতি নাগরিকদের আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট করলে বা প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করলেও তা ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে  যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবিধানিক বিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘জাতির পিতা’-ইত্যাদি নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কৃতকর্ম স্পষ্ঠভাবে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে প্রতিভাত।”

মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত একসময় অবহেলিত ছিল। এখন এ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সরকারের নীতি-নির্ধারণ ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিসর বৃদ্ধি করেছেন। তাঁর নির্দেশনায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চিফ ইনোভেশন অফিসার মোঃ তৌফিকুল আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ৩২টি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করা হয়।