প্রধান মেনু

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক দশক’ শীর্ষক সেমিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজস্ব উদ্ভাবন শক্তি কাজে লাগাতে হবে                                                                      — প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) : প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন,  সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নিজস্ব উদ্ভাবন শক্তি কাজে লাগাতে হবে। মানবিক দৃষ্টি সম্পন্ন উদ্ভাবন শক্তির প্রসার নিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল আরো গবেষণা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা আজ অনলাইনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক দশক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ২৫ মার্চ কালরাত্রি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৫ ডলার যা তখন পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ের অর্ধেক। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। বঙ্গবন্ধু যে দূরদর্শিতায় ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করেছিলেন তার তৎকালীন ক্রয় মূল্য আর বর্তমান মূল্য তুলনা করলে দেখা যায় ২৩০০ গুন বেশি।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী। মূল প্রবন্ধের আলোচনা করেন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল কাদের ও ব্লু ইকোনমি সেলের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাকির হোসেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি, এলপিজি ও এলএনজি সরবরাহ, কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মজুদ বৃদ্ধি এবং আধুনিক সরবরাহ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা মজবুত করেছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা গ্রামে বিদ্যুতায়নের সুষম উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। গ্রিড এলাকায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। দুর্গম পাহাড়ি ও বিচ্ছিন্ন চর ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মুজিববর্ষেই গ্রিড ও অফগ্রিড এলাকার সবাই বিদ্যুৎ পাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশবান্ধব উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে রূপরেখা দিয়েছেন তার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেই যাচ্ছে। প্রত্যেকে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ উন্নত একটি দেশ।